শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

Ismaile Kadare's poems translated by Gazi Saiful Islam

আন্তর্জাতিক ম্যান বুকার পুরস্কার ২০০৪ বিজয়ী আলবেনীয় লেখক

ইসমাইল কাদারের কবিতা

ভাষান্তর-গাজী সাইফুল ইসলাম

দীর্ঘকাল ধরে কমিউনিস্ট স্বৈরাচারের নিপীড়ন সইতে না পেরে ৯০-এর দশকে ইসমাইল কাদারে (Ismail Kadare)  যখন স্বদেশ আলবেনিয়া ত্যাগ করে ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন তখন থেকেই তাঁর নামটি বিশ্বসাহিত্যে বেশি করে আলোচিত হতে শুরু করে। এই লেখককের টোটাল সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই আলোচনায় আসে তাঁর দেশের কয়েক দশকের ইতিহাস। নিপীড়নে জর্জরিত তাঁর দেশের মানুষের করুণ জীবনবাস্তবতামই তাঁর লেখার মূল উপজীব্য। একই সঙ্গে আলোচনায় আসে তাঁর দেশকে যে লোকটি এমন হীন অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন সেই একনায়ক এনভার হোজ্জার (Enver Hoxha) কথা। বাংলাদেশে আমরা তার নামের উচ্চারণ করি আনোয়ার হোজ্জা।
ইসমাইল কাদারে

ইসমাইল কাদারে(৭৫) গ্রীক সীমান্তের নিকটবর্তী আলবেনিয়ার দক্ষিণের শহর জিরোকাস্তারে জন্ম গ্রহণ করেন ২৪ জানুয়ারি, ১৯৩৬, এনভার হোজ্জার জন্মের ২৮ বছর পর। কাকতালীয়ভাবে কাদারে এবং এনভার হোজ্জা একই এলাকার বাসিন্দা।  লেখক কাদারে তিরানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও দর্শনের ওপর পড়াশোনা শেষ করে মস্কোর গোর্কি ইনস্টিটিউটে পড়েন বিশ্বসাহিত্য নিয়ে। তখনো আলবেনিয়া আর মস্কোর মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শগত দ্বন্দ্ব দেখা দেয় নি। উভয় দেশই মার্কসবাদ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু রাজনীতিবিদরা সবাই চায় নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে আর অন্যের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে। এনভার হোজ্জার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটল না। তিনি চাইলেন মস্কোকে টেক্কা দিয়ে মার্কসবাদে আরও সফলতা ও প্রতিষ্ঠা পেতে। মনে করলেন, মস্কোর মার্কসবাদ সত্যিকারের মার্কসবাদ নয়। এ অবস্থায় তিনি কিছুটা চীনের দিকে ঝুঁকে পড়লেন। কিন্তু মাওবাদও তাকে বেশিদিন ধরে রাখতে পারে নি। তিনি একাই স্বদেশে এবং বিশ্বে সত্যিকার মার্কসবাদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। যেমন মানুষকে ধর্ম পালন ও প্রচার থেকে বিরত করা। এ উদ্দেশ্যে তিনি সব ধর্মের উপাসনালয়গুলো বন্ধ করে দিলেন। হ্যাঁ, মস্কোতে ধর্ম পালনের ব্যাপারে কড়াকড়ি ছিল কিন্তু একেবারে নিষিদ্ধ ছিল না। এনভার হোজ্জা নিজে একজন মুসলমান হয়েও মুসলমানদের ওপর এমন নিপীড়ন শুরু করছিলেন যে, মানুষ দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্পূর্ণরূপে পরিহার করা সম্ভব নয়। ফলে যারা তার ডিক্রি মানলো না তারাই ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবে হয়ে দণ্ড ভোগ করল। শুধু ধর্মের স্বাধীনতাই নয় স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারও হরণ করলেন। লেখা প্রকাশের ব্যাপারে বেশকিছু ডিক্রি জারি করেছিলেন। একটি ডিক্রিতে বলা হয়েছিল: ‘‘যা কিছু লেখা হোক না কেন লিখতে হবে কমিউনিজমকে হাইলাইট করে। পান্ডুলিপি প্রকাশের আগে রাষ্ট্রযন্ত্র কর্তৃক নির্দষ্ট করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানকে তা দেখিয়ে অনুমতি নিতে হবে।’’
আমরা দেখেছি, বিপ্লবোত্তর চীনেও এমন কিছু গল্প-উপন্যাস রচিত হয়েছে মাওবাদকে হাইলাইট করে। এমন অসহনীয় পরিবেশেও ইসমাইল কাদারে কবিতা লেখা বন্ধ করলেন না-যদিও একজন জাত লেখকের পক্ষে এমন পরিস্থিতি মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্তিতিতেই ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ইয়ুথফুল ইন্সপাইরেশনএবং ১৯৫৭ সালে ড্রিমস
সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে আলবেনিয়ার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় ১৯৬০ সালে  মি. কাদারেকে দেশে ফিরতে হলো। দেশে ফিরে তিনি পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন এবং হাত দেন গদ্য লেখায়। ১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস দি জেনারেল অব দি ডেড আর্মি। এই উপন্যাসে তিনি যুদ্ধোত্তর আলবেনিয়ার দুর্দিনের চিত্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরেন। এ উপন্যাস প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্বদেশে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ফলে লেখা প্রকাশের জন্য দেশের বাইরে ভ্রমণের স্বাধীনতা লাভ করেন তিনি। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তিনি রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। তিন বছরের জন্য তাঁর নতুন সব বইয়ের প্রকাশনা স্থগিত হয়ে যায়। নিষেধাজ্ঞার সময়টা কেটে গেলে ১৯৮১ সালে তিনি প্রকাশ করেন দি পেলেস অব ড্রিমসউপন্যাসটি। কিন্তু উপন্যাসটিতে পরোক্ষভাবে প্রচলিত রাজনীতির ব্যাপক সমালোচনা থাকায় কর্তৃপক্ষ এটিও নিষিদ্ধ করে। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে ১৯৮৬ সাল থেকে তিনি তাঁর লেখা একজন ফরাসি প্রকাশকের কাছে গোপনে প্রেরণ করতে শুরু করেন নিরাপদ সংরক্ষণের জন্য। এরপর আনোয়ার হোজ্জার শাসনকালের অবসান ঘটার দুমাস আগে ১৯৯০ সালের অক্টোবর মাসে তিনি ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে স্বেচ্ছা নির্বাসিত হন এবং ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে ২০০০ সালের প্রথমার্ধে তিনি দেশে ফেরেন।
ইসমাইল কাদারের লেখায় বরাবরই দেশ ও দেশের মানুষ উচ্চাসন পেয়ে এসেছে। তিনি জন্মগতভাবেই একজন লেখক। তাঁর পক্ষে রাজনৈতিক স্বৈরাচারকে প্রতিহত করা কিংবা কোনোভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল না। কাজেই সে পথে তিনি যান-ও নি। তিনি মনে করেন:  ‘‘স্বৈরতন্ত্র আর সত্যিকার দায়িত্বশীল লেখক সহাবস্থানে থাকতে পারে না’’। তিনি বলেছেন: ‘‘লেখকগণ প্রকৃতিগতভাবেই স্বৈরতন্ত্রবিরোধী’’। দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেখানেই যখন থেকেছেন, সকল অবস্থাতেই তাঁর দেশের নিপীড়িত মানুষের কথা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন। তাঁর কাজের বড় স্বীকৃতিও তিনি পেয়েছেন।  ২০০৪ সালে লাভ করেন আন্তর্জাতিক ম্যান বুকার পুরস্কার। ওই সময় তাঁর কাজের প্রশংসা করতে গিয়ে ম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রফেসর জন ক্যারি বলেছিলেন: ‘‘কাদারের উপন্যাস উত্তরোত্তর তাঁর দেশের মানুষের কথাই বলেছে। তাঁর লেখা শুধু ওই খুদে বলকান জাতিটির স্বাধীন জীবন-যাপনের পক্ষে যে জটিল দুঃসময় গেছে তাই চিত্রায়ণ করেনি, তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও নিবিড়ভাবে তুলে ধরেছে। গল্প বলার ক্ষেত্রে মি. কাদারে সাহিত্যের চিরন্তন ঐতিহ্যের অনুসারী এবং হোমারের উত্তরসুরী।’’ পুরস্কার প্রাপ্তির সংবাদ শুনে আবেগে আপ্লুত কাদারে বলেছিলেন: ‘‘এই পুরস্কারের কারণে বলকান এলাকার ছোট্ট দেশটির আলাদা একটি ভাবমূর্তি গড়ে উঠবে।...আমি ইউরোপের একাংশের, বলকান অঞ্চলের এমন একটি দেশের লেখক, যুগ যুগ ধরে যে দেশটি বিশ্ব সংবাদের শিরোনাম হয়েছে, দুর্বলচেতা, মিলিটারি শাসনে ন্যুব্জ, গৃহযুদ্ধের আগুনে পোড়া, জাতিগত সংঘাতে ক্ষতবিক্ষত একটি দেশ হিসেবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার এ পুরস্কার প্রাপ্তির পর ইউরোপসহ বিশ্বের অপরাপর দেশের মানুষ জানবে ওই দেশটি বিশ্ববাসীকে অন্যরকম সংবাদ দিতে পেরেছে। ভবিষ্যতেও তারা শিল্প-সাহিত্য এবং সভ্যতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের সংবাদ বিশ্ববাসীকে দিয়ে যেতে থাকবে।’’
মি. কাদারে ম্যানবুকার ছাড়াও বিভিন্ন সময় বহু গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পেয়েছেন ফ্রান্স রাইটারস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদ। গত কয়েক বছর ধরেই নোবেল পুরস্কারের সর্ট লিস্টে  থাকছে তাঁর নাম। এ বছর (২০১৩) সালেও বাদ যায়নি। আশা করা যাচ্ছে, শক্তিমান লেখক হিসেবে তিনি অচিরেই এ পুরস্কার লাভ করবেন। আলবেনীয়ও এবং ফরাসি ভাষায় বিভিন্ন সময় প্রকাশিত তাঁর প্রধান বইগুলো হলো:
* দি ক্যাসেল (১৯৭০)
* ক্রনিকল ইন স্টোন (১৯৭১)
* দি গ্রেট উইনটার (১৯৭৭)
* দি থ্রি আর্সড ব্রিজ (১৯৭৮)
* ব্রোকেন এপ্রিল (১৯৮০)
* লিটারেরি ওয়ার্কস (১৯৮১-৮৯)
* দি কনসার্ট এট দি এন্ড অব দি উইনটার (১৯৮৮)
* দি পিরামিড (১৯৯২)
* আলবেনিয়া (১৯৯৫)
* পয়েমস (১৯৯৭)
* এলিজি ফর কসোভো (২০০০)

ইসমাইল কাদারের কবিতা

স্ফটিক

বহু আগে আমরা পরস্পরকে দেখেছিলাম
এবং এখন আমার মনে হচ্ছে
আমি ক্রমশ ভুলে যাচ্ছি তোমাকে।
দিনে দিনে তোমার স্মৃতি শুকিয়ে যাচ্ছে আমার ভেতরে।

তোমার চুলের স্মৃতি
এবং তোমার প্রতিটি বিষয়।

এখন আমি সর্বত্র খুঁজে বেড়াই
সেই জায়গাটি যেখানে আমি তোমাকে রেখে এসেছি,
একটি বাক্য, একটি কবিতা অথবা একটি উষ্ণ আলিঙ্গন
এবং বিচ্ছেদ।

যদি কোনো কবরস্থান তোমাকে গ্রহণ না করে
কোনো পাথর কিংবা স্বচ্ছ ভাষ্কর্যের প্রয়োজন নেই-
আমার ভেতরে সর্বদা তুমি থাকবে
আধা মৃত এবং আধা-জীবিত।

কোনো খাদ বা গহ্বর যদি না পাই তোমাকে সমাহিত করতে
খুঁজে নেবো কোনো বনভূমি অথবা মাঠ
যেখানে আমি ছড়িয়ে দেবো তোমায় আদরের সঙ্গে
পরাগের মতো।

বিদায় আলিঙ্গনেও হয়তো করব ছল তোমার সঙ্গে
এরপর পালাবো অবাধ্যের মতো
এরপর আর কেউই জানবে না কে কোথায় আছি।

এই তো ভুলে যাওয়ার গল্প, তাই না?

**আলবেনীয়ও থেকে ইংরেজি অনুবাদ: অ্যান্থনি উইর। নির্বাসনে অবস্থানকালে কবি তাঁর জন্মভূমি আলবেনিয়ার প্রতি গভীর মমত্ববোধ থেকে রচনা করেন এ কবিতা। দূরের দেশের পাঠক হয়েও আমাদের তা হৃদঙ্গম করতে কষ্ট হয় না। 

এবং যখন আমার স্মৃতি

এবং যখন আমার স্মৃতি বিবর্ণ হতে হতে
শেষ রাতের ট্রেনের মতো হয়ে যাবে,
থামবে শুধু প্রধান স্ট্যাশনগুলোয়,
তখনো আমি তোমাকে ভুলব না।

আমি স্মরণ করব
সেই শান্ত সন্ধ্যেটির কথা,
যা চিরকালীন স্থিরতা পেয়েছিল তোমার চোখে,
দম আটকানো কান্নায় যখন তুমি ফোঁপাচ্ছিলে
মাথা রেখে আমার কাঁধে
স্তূপীকৃত বরফের মতো-যা মুছা যায় না কখনো।
বিচ্ছেদ এলো,
আর আমি সরে এলাম-তোমার থেকে বহু দূরে।

কোনো কিছুই অস্বাভাবিক নয়,
কিন্তু কোনো কোনো রাতে
কারও আঙুল হয়তো ঢেউ তুলে তোমার চুলে,
আমার দূরবর্তী আঙুল, হাত প্রসারিত থাকে মাইলের পর মাইল।

শিশুকাল

আমার শিশুকাল কালি দাগা আঙুল
সকালবেলায় কড়া নাড়ে,
গোধূলিতে কড়া নাড়ে মুয়াজ্জিন
সিগারেটের প্যাকেট
আর পুরনো স্ট্যাম্প কুড়োনোর দিন।
সিলনে একবার
লুক্সেমবার্গে দুবার ব্যবসায় বসা।
এভাবেই হাওয়া হলো
শিশুকাল,
ছেঁড়াকাপড়ে বানানো বলের পেছনে ছুটে
ধুলোয় পড়ে সে কী কান্না,
ছেঁড়াকাপড়ের একটি বল,
আলবেনিয়ার বাদামিরঙ ছেঁড়াকাপড়।

(১৯৫৮)
আলবেনীয়ো ভাষা থেকে ইংরেজি অনুবাদ: রবার্ট এলিস
১৯৯৩ সালে লন্ডনের ফরেস্ট বুকসপ্রকাশিত অ্যান এলিউসিভ ঈগল সোরসনামের আলবেনিয়ান কবিতা সংগ্রহ থেকে।

কবিতা

কবিতা,
আমার কাছে আসার পথ তুমি কীভাবে খুঁজে পাবে?
আমার মা আলবেনিয়ান ভাষা ভালো জানেন না
অ্যারাগনের মতো তিনি লিখেন তাঁর চিঠি, দাড়ি-কমা ছাড়া,

আমার বাবা তাঁর বাল্যে উদ্দেশ্যবিহীন ঘুরে বেড়িয়েছেন
সমুদ্র থেকে সমুদ্র
কিন্তু তুমি এসে হাঁটছে
আমার পাথুরে শহরের শানবাঁধা শান্ত ওঠোনে।
এরপর ভীরুহাতে কড়া নেড়েছ তিনতলা বাড়ির
১৬ নাম্বার দরজায়।

জীবনে অনেক কিছু আমি পছন্দ করেছি
আবার অপছন্দও করেছি,
অন্যদের সমস্যার কারণও হয়েছি,
কারণ আমি ছিলাম একটি মুক্ত শহর

যাহোক...
একজন যুবক হিসেবে রাতে নিঃশেষিত হয়ে ঘরে ফিরেছি,
আমার পদচারণায় ভেঙেছে তাদের নৈশকালীন নিস্তব্ধতা।

এখানো আমি, তোমার কাছে ফেরার প্রহর গুনছি,
 অবকাকাল বারবার ধূলিসাৎ হওয়ার পরও।

এবং তুমি,
আমার ধর্মোবিশ্বাসকে দাঁড় করো না আমার বিরুদ্ধে,
হাতবুলিয়ে দিও আমার চুলে,
আমার শেষ গন্তব্য পর্যন্ত।

ইয়ালটা/১৯৫৯।
আলবেনীয়ও থেকে ইংরেজি অনুবাদ: রবার্ট এলিস। ১৯৯৩ সালে লন্ডনের ফরেস্ট বুকসপ্রকাশিত অ্যান এলিউসিভ ঈগল সোরসনামীয় আলবেনিয়ান কবিতা সংগ্রহ থেকে।



  অগ্রপথিক
জানুয়ারি ২০১৪

0টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এতে সদস্যতা মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন [Atom]

<< হোম