বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১১

Poems translated by gazi saiful islam, Between Going and Staying-English trans. Eliot Weinberger, Bengali trans. Gazi Saiful Islam


Maxican Poet Octavio Paz
যাওয়া আর থেমে থাকার অস্থির দিনগুলোয়

অক্টাভিও পাজ


যাওয়া আর থেমে থাকার অস্থির দিনগুলোতে
ভালোবাসা তার নিজের মধ্যেই এক মুক্তহৃদয়।

প্রবাহমান বিকেল এখন রূপ নিয়েছে একটি উপসাগরে
পৃথিবী যেখানে জমাট বেধে হয়েছে স্থবির পাথর।

যা কিছু দৃশ্যমান এবং যা কিছু অস্পষ্ট,
সকলই কাছে কিন্তু যায় না স্পর্শ করা।

কাগজ, বই, পেন্সিল, কাঁচ
নিজেদের নামের মধ্যেই থাকে অবশিষ্ট হয়ে।

আমার মন্দিরে সময়ের কাঁপনে পুনরাবৃত্তি ঘটে
যেমনটি ঘটে অপরিবর্তিত রক্তের কণিকাংশে।

আলো ফিরে আসে উদাসীন দেয়ালের ওপর
যার প্রতিফলনে দৃশ্যমান হয় একটি ভুতুরে নাট্যমঞ্চ।

নিজেকে আমি আবিষ্কার করি একটি চোখের মাঝখানে
এরপর সেই চোখের কালোয়ও আমাকেই দেখতে থাকি।

মুহূর্তগুলো ছড়িয়ে যায়, গতিহীন
আমি দাঁড়াই আর হাঁটি, একটি বিরতিচিহ্ন।

ইংরেজি অনুবাদ- ইলিয়ট ওয়েনবার্গার
বাংলানুবাদ- গাজী সাইফুল ইসলাম
Contract:gazisaiful@gmail.com

Poems translated by gazi saiful islam, Adonis’ Poem,English trans. Khaled Mattawa, Bengali trans. Gazi saiful Islam


Arab Poet Adonis

উৎযাপন বাল্যকাল

এমনকি বাতাসও হতে চায়
প্রজাপতি টানা গাড়ী।
পাগলামির স্মৃতিচারণ করছি
মনের বালিশে হেলান দিয়ে।
নিজের দেহের সঙ্গে তখন কথা হতো আমার
এবং আমার দেহ ছিল একটি ধারণা
লাল কালিতে আমি তা লিখেছিলাম।
লালরঙ সূর্যের জমকালো সিংহাসন
অপরাপর সব রঙ পুজো দেয়
তার পটে।
Lybian poet Khaled mattawa
রাত হলো আরেকটি প্রদীপ।
প্রতিটি শাখা, এক একটি বাহু
শূন্যে চালান করে একটি বার্তা
এরপর তারা প্রতিধ্বনিত হয়-বাতাসে দেহ দ্বারা।
সূর্য জেদ ধরে জড়িয়ে যেতে কুয়াশার চাদরে
যখন সে মিলিত হয় আমার সঙ্গে:
এবং আমি বিরাগভাজন হয়ে পড়ি আলোর।
অহ্‌, অতীতের দিনগুলো আমার হাঁটে
 অভ্যেসবশত ঘুমের মধ্যে-
আর আমি হেলাম তাদের ওপর।
ভালোবাসা আর স্বপ্ন সম্পর্কহীন দুটি শব্দ                                
আমি তাদের স্থান দিয়েছি আামর দেহে
এবং আবিষ্কার করেছি পৃথিবী।
অনেক সময় আমি দেখেছি
বাতাস বয়ে যায় দুটি ঘাসের ডোগায় ভর দিয়ে
আর তার সঙ্গে নাচে পথ বাতাস নির্মিত পায়ে।
আমার ইচ্ছেরা ফুল হয় 
রঞ্জিত করে আমার দিনগুলো।
বাল্যে আমি আহত হয়েছিলাম আঘাতে
এবং বাল্যেই শিখেছিলাম যে,
আঘাত থেকেই জন্ম আমার।
আমি সেই শিশুটিকে অনুসরণ করি
যে এখনও হাঁটছে আমার ভেতরে।
এখন সে দাঁড়িয়ে আছে একটি আলোর সিঁড়িতে
খুঁজছে একটি কোণ বিশ্রাম নেয়ার আশায়
এবং রাতের মুখশ্রীটি পুনরায় পাঠ করার জন্যে।
চাঁদ যদি হয় একটি বাড়ি,
আমার পা প্রত্যাখ্যান করবে তার দুয়ার।
ধূলি তাদের বক্ষে ধরবে
নিয়ে যেতে আমায় ঋতুকালীন বাতাসের কাছে।
ওপরে উঠি আমি,
এক হাত রেখে বাতাসের সিঁড়ি
আরেক হাত বুলিয়ে দিই সস্নেহে গাছদের মাথায়
যেমনটি কল্পনা আমার।
একটি নক্ষত্রও হতে পারে
একটি নুড়ি মহাশূন্যতার মাঠে।
সে একা
যে যোগ দিয়েছে দিগন্তে
তৈরিও করতে পারে নতুন সড়ক।
একটি চাঁদ, একটি বৃদ্ধ লোক,
রাতের আকাশ দেয় তাকে দাঁড়াবার ঠাঁই
আলোক হয় তার হাঁটার লাঠি।
যে শরীরে বসবাস আমার কী বলব তাকে,
বাড়িরই অসংখ্য পাথরের ওপর
জন্মেছিলাম আমি।
কেউ বলতে পারে না আমার শৈশবের কথা
সেই সব নক্ষত্র ছাড়া যারা মিট মিট করে
জ্বলছিল তার ওপর।
এবং রেখে গিয়েছিল পায়ের চিহ্ন
ভোরের পথের ওপ।
আমার শৈশব এখনও রয়েছে শৈশবে
আলোর হাতের তালুতে-
তাদের নাম আমি জানি না,
এবং যারা দিয়ে আমর নাম।
নদীর বাইরে সে তৈরি করেছে একটি আয়না
এবং জিজ্ঞেস করছে তার দুঃখ সম্পর্কে।
সে মেঘকে নকল করেছে
এরপর ঝরিয়েছে বৃষ্টি তার দুঃখচেতনার বাইরে।
তোমার শৈশব একটি গ্রাম।
তুমি কখনও অতিক্রম করতে পারবে না সীমানা-
যত দূরেই তুমি যাও সেটা কোনো ব্যাপার নয়।
দিনগুলো তার হয়ে আছে হৃদ,
স্মৃতিগুলো ভাসছে দেহের সঙ্গে।
তুমি, যে কিনা নেমে আসছে
অতীতের পাহাড় থেকে,
আবার তুমি কীভাবে চড়বে তাদের ওপরে,
এবং কেন?
সময় একটি দরজা
আমি তা পারি না খুলতে।
আমার জাদু নিঃশেষিত,
বাঁশিও ঘুমিয়ে গেছে।
আমি জন্মেছিলাম একটি গাঁয়ে,
 ছোট্ট মায়ের গর্ভের মতো গোপন, নিরপাদ।
আমি ওটি কখনও ত্যাগ করিনি।
আমি ভালোবেসেছি সমুদ্রকে, তীরকে নয়।

সূত্র: নির্বাচিত কবিতা, অ্যাডোনিস
অনুবাদ: খালেদ মোত্তবা

অনুবাদক পরিচিতি: খালেদ মোত্তবা (Khaled Mattawa) মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক। পড়ান ভাষা সাহিত্য বিষয়ে। জন্মগ্রহণ করেন লিবিয়ার বেনগাজিতে। অল্প বয়সে তিনি আমেরিকায় পাড়ি জমান। চারটি কবিতার বইয়ের রচয়িতা তিনি। অতি সমপ্রতি বেরিয়েছে, টুকইভিলি আরব কবিতার অনুবাদে বের হয়েছে পাঁচটি বই। মি. মোত্তবা অনুবাদের জন্য পেয়েছেন পিইএন অ্যাওয়ার্ড ২০১১ অ্যাডোনিসের নির্বাচিত কবিতার জন্য সালে জিতেছেন আন্তর্জাতিক Griffin Poetry Prize পুরস্কার।